বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য সপ্তম বামফ্রন্টের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীত্বের শপথ গ্রহণের দিনেই রতন টাটাকে সাথে নিয়ে সিঙ্গুরে ছোটো গাড়ি তৈরীর কারখানা করার কথা ঘোষনা করেছিলেন। এরপর একটু একটু করে গড়ে উঠেছিল কারখানার দেওয়াল, ছাদ। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সিঙ্গুরের কপালে শিল্পের শিকে ছেড়েনি। ২০০৭ সালে সিঙ্গুরের মাটিতে শুরু হয় কারখানা তৈরীর কাজ। সেই সময় কৃষকদের একাংশ জমি আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় সিঙ্গুর আন্দোলন গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই সময় আন্দোলন চরমে উঠে। সেই সময় জমি না দিতে চাওয়া কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে, এই সব কিছুতে সিঙ্গুরের মাটি ভিজে গেল দরীদ্র কৃষকের রক্তে।
এই সিঙ্গুর আন্দোলনে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন রাজকুমার ভূল। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় সিঙ্গুরে। এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়িকা করবী মান্না, জেলাপরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জমি আন্দোল নেতা মানিক দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগন, শহীদ রাজকুমার ভূলের পরিবার, পরিজন, কৃষকরা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকগন। এই প্রশঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ২০০৬ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর বামফ্রন্ট সরকারের মদতে গরীব কৃষকদের উপর পুলিশের নির্মম অত্যাচারের কারণে মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ভূলের। প্রতি বছরের মত এদিনও সকলে সমবেত হয়ে এই শহীদের প্রতিকৃতিতে মালা পরিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়