নিউজ ডেস্ক, যাদবপুর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ইন্দুমতী সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো অল ইন্ডিয়া এনজিও অ্যাসোসিয়েশন এর বাৎসরিক অনুষ্ঠান। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত গায়ক ঋষি চক্রবর্তী, গায়িকা শম্পা বিশ্বাস, প্রবীণ আইনজীবী পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, কেন্দ্রীয় খাদি গ্রামোদ্যোগ দপ্তরের পশ্চিমবঙ্গের মার্কেটিং ম্যানেজার পবিত্র সরকার, প্রাক্তন পুলিশকর্তা বিশিষ্ট সমাজসেবী অরিন্দম আচার্য সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পাশাপাশি বাংলা-বিহার-উরিষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা সহ দিল্লি থেকেও এনজিওর কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।অল ইন্ডিয়া এনজিও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সমাজ রত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত তাপস কুমার দে এর পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে সংস্থার তরফ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি ব্লকের বিবেকানন্দ স্বনির্ভর জ্ঞান আশ্রমের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শ্রীমতি শীলা হালদারের হাতে স্বারক সম্মান তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সম্মানিত করা হয় কুলপি ব্লকের ১৪টি অঞ্চলের প্রতিনিধি তথা জাতীয়তাবাদী যোদ্ধাদেরকেও।
সংস্থার সহ-সভাপতি স্বামী জ্ঞানরঞ্জন মহারাজ বলেন, আমাদের সংস্থায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি সামগ্রী আমরাই ক্রেতা – আমরাই বিক্রেতা, অর্থাৎ সবাই মালিক। তিনি জানান, পাদের সংস্থার অন্যতম স্বনির্ভরতার পদ্ধতি “জিট”। এই জিট এর লক্ষ্য হলো –
- আমি নয় সবাই
- দায়িত্ব নিয়ে বাঁচতে চাই
- ঝগড়া নয় শান্তি চাই
- গ্রামে গ্রামে জিট পাঠশালা চাই
- খাঁটি মাল দামে কম
- মাল কিনে মালিক হোন
- গ্রামে গ্রামে ব্যাবসা চাই
- স্বনির্ভর হয়ে বাঁচতে চাই
এই “জিট” পদ্ধতি গ্রামে গ্রামে স্থাপন করার সরকারী নির্দেশ দিলেন SHG নোডাল অফিসার মৌমিতা চক্রবর্তী। এবং তা ৩০০০০ SHG সদস্যাদের মাধ্যমে উক্ত শ্লোগান দ্বারা সচেতন করার নির্দেশও দেন।