বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : বৃহস্পতিবার ভাদ্রমাসের অমাবশ্যা। এই অমাবশ্যাকে কৌশিকী অমাবশ্যা বলে। অন্যান্য অমাবশ্যার থেকে কৌশিকী অমাবশ্যা সর্ব শ্রেষ্ঠ। এই বিশেষ দিনে বীরভূম জেলার তারাপিঠের সাথে সাথে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র চলছে মাতারার আরাধনা। এই দিনটিকে নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। যেমন কারোর মতে ভাদ্রমাসের অমাবশ্যার দিনে বীরভূম জেলার তারাপিঠে মা তারা মর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আবার কারোর মতে এই অমাবশ্যার রাতে সাধক বামাক্ষ্যাপা তারাপিঠের মহাশশ্মানে তারামায়ের দর্শন পেয়ে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।আবার পৌরাণিক মতে এই দিনেই মা তারা কৌশিকী রূপে অশুভ শক্তি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন।
এই রাতকে মা তারার রাতও বলা হয়। মতামত যাই হোক, ভক্তের কাছে দিনটি বিশেষ দিন। অমাবশ্যা তিথি শুরু হলে পূজো শুরু হয়। পূজো সমাপ্ত হতে রাত ভোর হয়ে যায়। ফল- মূল, মিষ্টান্ন সহযোগে পূজো শুরু হয়। এরপর মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগ নিবেদনের পর চলে অঞ্জলী প্রদান পর্ব। এই দিনে ভক্তগন সকাল থেকে উপবাসী থেকে মা তারাকে ফুল- বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলী প্রদান করে নিজ মনোষ্কামনা জানান। অবশেষে আরতী, হোম- যজ্ঞের মাধ্যমে পূজোর সমাপ্তি হয়। এবারের কৌশিকী অমাবশ্যার রাত্রী এক বিরলতম যোগ রয়েছে। এই দিনের জন্য বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেল কতৃপক্ষ।