বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : শনিবার মধ্যরাতে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যালয়ের একাংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর পিয়ারাপুরের চাপসারা এলাকায়। এদিন মধ্য রাতে কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী দেখেন বিজেপির কার্যালয়টি জ্বলছে। তৎক্ষণাৎ তারা বিজেপি কর্মীদের ফোন করে খবরটা জানায়। কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় এই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এরপরই কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবীতে দীর্ঘ সময় রাস্তা অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পিয়ারাপুর আউট পোষ্ট থানার পুলিশ তাদের আস্বস্ত করেন, দোষীদের চিহ্নিত করে হেফাজতে নেবেন। এরপরেই তারা অবরোধ তুলে নেয়। এবং পিয়ারাপুর আউট পোস্টে তৃণমূলের দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এই প্রশঙ্গে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অমিতাভ ঘোষ বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই বিজেপির কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছে। ওরা সবসময়ই বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতি, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর, খুন, ধর্ষন, কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি এই সব কিছুতেই তৃণমূল জড়িত।
শ্রীরামপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পাপ্পু সিং বলেন, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যদিও শাসক দলের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। যেহেতু বিজেপির ভোটারদের সংখ্যা বাড়ছে, তাই শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করতেই এই সব অসাজিক কাজ করছে।
তবে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বৈদ্যবাটি পৌরসভার তৃণমূলের পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অসামাজিক কাজে যুক্ত নয়। নিজস্ব মতাদর্শে চলা প্রত্যেক মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী দন্ধের কারণে বিজেপির কর্মীরাই কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছে। তবে দোষীরা শাস্তি না পেলে, আগামী দিনে বিজেপির তরফ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন অমিতাভ ঘোষ।