বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলী : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এবার পুলিশ গ্রেফতার করল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে। ধৃতের নাম মনোতোষ ঘোষ। বছর একুশের মনোতোষের বাড়ি হুগলীর আরামবাগে। শান্তিনাথ ঘোষ ও টগর ঘোষের ছেলে মনোতোষ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল। আরামবাগ হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে গত বছর যাদবপুরে ভর্তি হয় মনোতোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করেই মনোতোষ ঘোষ সহ আরও এক পড়ুয়ার নাম উঠে আসে।
জানা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হষ্টেলের একশ চার নম্বর ঘরের আবাসিক ছিল মনোতোষ। এই ঘরেই স্বপ্নদীপ অতিথি হিসাবে থাকতো। মনোতোষ ঘোষ সৌরভের খুব ঘনিষ্ঠ ছিল বলেই জানা যায়। এও জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি তেও মনোতোষের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর দিন রাত কাউন্সিলিং এর নামে প্রথম পর্যায়ে রাত আটটা থেকে স্বপ্নদীপের উপরে নির্যাতন চলে। রাত দশটা দশে দিত্বীয় পর্যায়ে আবার শুরু হয় নির্যাতন। সেই সময় সৌরভের সাথে মনোতোষ সহ ধৃত অপর পড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিল। মনোতোষ শনিবার বাড়িতে জানিয়েছিল পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এদিন রাত ভোর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি থাকার কারণে রবিবার ভোরে এদের গ্রেফতার করা হয়। যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে মনোতোষের বাবা শান্তিনাথ ঘোষকে। যদিও মনোতোষের বাবা মা জানিয়েছেন তাদের ছেলে নির্দোষ।