বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : চব্বিশ ঘন্টা না যেতেই আবারও কাঠগড়ায় সেই চন্দননগর হাসপাতাল। জানা যায়, গত ছয় মাস ধরে হাসপাতালের বাইরে বিনা চিকিৎসায় একটা ঠেলা গাড়ির উপর শুয়ে দিন কাটাচ্ছে এক মধ্য বয়স্ক মহিলা রোগী। ইনি ভারসাম্যহীণতায় ভুগছেন। স্থানীয় মানুষ জন জানাচ্ছেন যতবারই এই মহিলাকে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে এলাকার কাউন্সিলার চিঠি লিখে দিলে এই মহিলা রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে। ভর্তি হতে না পেরে বাধ্য হয়েই বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বাইরে একটা ঠেলা গাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে এই মানষিক ভারসাম্যহীণ মহিলা।

বৃহস্পতিবার এই ঘটনা জানাজানি হতে স্থানীয় বিজেপি মন্ডলের সভাপতি গোপাল চৌবে কয়েক জন দলীয় কর্মীকে নিয়ে গিয়ে এক রকম জোর করেই ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই প্রশঙ্গে গোপালবাবু বলেন, গত ছমাস ধরে একজন মহিলা রোগী চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বাইরেই পড়ে আছে। এই ঘটনা সব জেনেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মূখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্য দপ্তর দেখছেন। তিনি নিজেই বার বার বলছেন সরকারি হাসপাতালের রোগীকে উন্নত মানের পরিসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছে। অথচ বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণই আলাদা। হাসপাতালের নীল সাদা রঙ মানেই উন্নত পরিকাঠামো নয়, উন্নত মানের রোগী পরিসেবারও যথার্থ প্রয়োজন আছে বলেও জানান গোপালবাবু।

এই প্রশঙ্গে হুগলীর কংগ্রেস নেতা মইনুল হক বলেন, রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিধায়কদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দিতে ভরষা পাননা। তাই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো সব নিজের দায়িত্বে রেখেছেন। মূখ্যমন্ত্রীর পদ সামলিয়ে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলানোর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে যথাযথ ভাবে নজর দেওয়া ওনার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বিষয়টা হাসপাতালের সব কর্মীদের খুব ভালোভাবে জানা হয়ে গেছে। এর ফলেই স্থায়ী, অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আর তার ফল ভোগ করেছে সাধারণ মানুষকে। এখন দেখার ওই রোগীটির চিকিৎসার গুরুত্ব কতটা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।