লতা পুরকাইত, মথুরাপুর : ভোট পরবর্তী হিংসায় আতঙ্কিত মথুরাপুর ১নং ব্লকের ঢোলাহাট থানার আবাদভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিরোধীদলের নেতা, কর্মী সমর্থকেরা। ভোটের আগে থেকেই বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস চলছিল গোটা পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে। পঞ্চায়েতটি তৃণমূল দখল করে। অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর থেকে অন্ধকার নামলেই তৃণমূল আশ্রিত বাইক বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকরা। রাতের অন্ধকারে বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের এই সশস্ত্র বাইক বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

গতকাল রাতে হালদার চকের ১৩৪ নম্বর বুথে বেছে বেছে সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। বেধড়ক মারধর করা হয় সিপিএম কর্মী শম্ভু পাইক ও সাম্বো পাইককে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা কৃষ্ণ পাইক ও প্রতিমা পাইক। তাদেরও চোখে মুখে আঘাত রয়েছে। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না কেউ। জানাগেছে, এই বুথে অল্প সংখ্যক ভোটে সিপিএমের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কেন তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয়নি জবাব চাইতে রাতের অন্ধকারে একের পর এক বাড়িতে ঢুকে মারধর ও লুটপাটের পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামলেও দুষ্কৃতীদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাটি পারিবারিক বিবাদ বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।