ভোট আসে ভোট যায় জলের সমস্যা থেকেই যায়।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : “যে রাজনৈতিক দলই আসুক গ্রামের জলের সমস্যার তেমন কোনোই সমাধান হয়নি। গরীব মানুষের কথা কেউ শেনেনা, এমনই বক্তব্য হুগলীর সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের পোঁটবার গ্রামবাসিদের। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন দোর গোড়ায় কড়া নাড়ছে। প্রার্থীরা নিজেদের সকলের থেকে সেরা প্রমাণ করতে বাড়ি বাড়ি প্রচারও শুরু করেছেন।

কিন্তু গত পাঁচ বছরে কি কাজ হয়েছে? গ্রামের বেহাল রাস্তা, পাণীয় জলের সমস্যা কতটা সমাধান করতে পেরেছেন? বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা তৃণমূল কংগ্রেসের সান্তনা বাস্কে বলেন, রাস্তার কোন সমস্যা নেই, জলের সমস্যা পঞ্চায়েতের সামর্থ অনুযায়ী সমাধান করার চেষ্টা করছেন। জলের সমস্যা ছাড়াও অন্যান্য অনেক কাজ আছে। জলের সমস্যা মেটানো হবে তবে গ্রামের মানুষদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। বললেই করে দেওয়া যায়না। সব কিছুই সময় সাপেক্ষ। তবে, সান্তনা বস্কে এবার ১১১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন।
বেহাল রাস্তার মধ্যে কয়েকটা করা হয়েছে। সব রাস্তাই হয়েছে এমনটা নয়। তবে পাণীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এমন অভিযোগই জানালেন পোঁটবা গ্রামের ১১০ নম্বর বুথের সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি বামেদের আমল ৩৪ বছরে জল সংকট মেটেনি। টি এম সির আমলেও একই অবস্থা আর কতদিন ধৈর্য ধরতে হবে?

এই বুথের প্রাক্তন বাম সদস্য কালিপদ মান্ডী বলেন রাস্তার উন্নতি বাম আমলেই হয়েছে। তিনি অনাস্থা ভোটে সরতে বাধ্য হয়েছিলেন। না হলে গ্রামের মানুষের চাহিদা মত সব কাজ তিনি করে দিতেন। ভোটের আগে শুধুই প্রতিশ্রুতি। সমস্যার কোন সমধান হয় না। কোন রাজনৈতিক সদস্য গ্রামের পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করেন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা গ্রাম।