নিহতদের পরিবারের পাশে বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলপি : চোখের জলে বিদায় জানালো কুলপির রামকিশোরপুর অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় কুমার হালদার, অভিজিৎ হালদার ও বুদ্ধেশ্বর বাগকে শেষ শ্রদ্ধা জানালো প্রতিবেশীরা। কুমার, অভিজিৎ এবং বুদ্ধেশ্বর শুরু করতে চলেছিল নতুন একটা কর্মজীবন, কিন্তু তাদের এই জীবনটা এক নিমেষেই কালের গর্ভে তলিয়ে গেলো।
গত ৩রা জুন রাত্রিতে খবর আসে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ওই তিন যুবকের।

রবিবার ওই শোকাহত পরিবারের সাথে দেখা করে সহানুভূতি প্রকাশ করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এমনিতেই গত দুদিন ধরে এলাকা ছিল শোকস্তব্ধ, কিন্তু আজ যখন তাদের নিথর দেহ নিয়ে আসা হয় তখন গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাগেছে ওই তিন যুবক প্রত্যেকেই যাচ্ছিলেন বিশাখাপত্তনমে নতুন কাজের সন্ধানে। কিন্তু পথেই উড়িষ্যার বলাসোরে ঘটে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা।

এদিন নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে সাংবাদিকদের বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার কাছে নেই। নিহতদের পরিবারকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং রেল দপ্তর, বীমা এরা নিশ্চই সাহায্য করবেন। সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি ও সঠিক ভাবে পায় তার সহযোগিতা আমরা করবো। পাশাপাশি আমরাও তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। এই শোকাহত পরিবার গুলি বিধায়ক কে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।