ফের দুর্যোগের আশঙ্কা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, আলিপুর : দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগর জুড়ে জোড়া ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মোজ্যাৎ বা মোচা। দিল্লির মৌসুম ভবন থেকে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে ঝড়ের অভিমুখ থাকবে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। তবে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় উড়িষ্যা লাগোয়া অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর সমুদ্র উপকূলের জেলাগুলোতেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও মায়ানমার ও তার আশে পাশের দেশ গুলিও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক মঙ্গলবার দুপুরে জরুরী প্রশাসনিক বৈঠক করেন এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে জেলা কালেক্টরেটদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।আজ বিকেলে ঝড়ের গতি প্রকৃতি ও তার সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্ধ্র প্রদেশে জরুরী বৈঠক করবেন রাজ্যের ত্রান ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী।
সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ও প্রকৃতি কি হবে সেটা আগামী ৮ অথবা ৯ই মে পরিষ্কার বোঝা যাবে। তবে গভীর সমুদ্রে অতিরিক্ত জ্বলীয়বাষ্প জমা হওয়ায় দ্রুত নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোচা কতটা ভয়ঙ্কর হবে তখনই বোঝা যাবে বলে আশা মৌসুম ভবনের আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের।
৬ মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত, ৭ই মে শক্তি বাড়বে। ৮ই মে সকালের মধ্যে এটি নিম্নচাপ তৈরি করার সম্ভাবনা, উড়িষ্যা উপকূলবর্তী এলাকাতে “মোচা” ল্যান্ডফল হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিলেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তারই জেরে চলতে পারে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। ইয়েমেনে মোচা সমুদ্র বন্দরের নাম অনুসারে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম “মোচা” রাখা হয়েছে।