বধুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলপি : পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনাটি দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার কুলপি থানার অন্তর্গত গাজীপুর অঞ্চলের কৃপারামপুর গ্রামের। প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে মন্দিরবাজারের গাববেড়িয়ার মুর্শিদা বিবির সাথে গাজীপুরের কৃপারামপুরের বাসিন্দা মহিমের খানের বিয়ে হয়। মহিম আগে একবার বিয়ে করেছিল বলে জানাজায়। কিন্তু সেই স্ত্রী চলে যাওয়ার পর দিত্বীয় বার বিয়ে করে মুর্শিদাকে। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মহিম, প্রায়ই নেশা করতো সে। এই নিয়ে স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত।
সোমবার রাতে অশান্তি চরমে উঠলে মহিম, মুর্শিদাকে মার ধর শুরু করে। এরপর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে সে বেরিয়ে যায়। মঙ্গলবার বেলা হতেই, দীর্ঘ সময় সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা দরজা খুলে ঘরে ঢুকে মুর্শিদা বিবিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। খবর দেয়া হয় স্থানীয় কুলপি থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার মর্গে মৃতদেহ ময়না তদন্তেের পর পরিবারের হাতেতুলে দেয় কুলপি থানার পুলিশ। ওই বধূর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে কুলপি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল অভিযুক্ত স্বামী মহিম খান। কুলপি থানার ভার প্রাপ্ত আধিকারিক বাপি রায়ের নেতৃত্বে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার সকালে অভিযুক্ত কে পাশের গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বধু হত্যার মামলা রুজু করে ডায়মন্ড হারবার আদালতে পাঠানো হয় ধৃতকে। বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় পুলিশের ভুয়র্শি প্রশংসা করেন এলাকাবাসীরা।