৬১০ ভক্তের স্বেচ্ছায় রক্তদান।
বন্দনা ভট্টাচার্য, কলকাতা : সদগুরু মাতা সুদীক্ষাজী মহারাজ ও নিরঙ্কারী রাজপিতাজীর আশির্বাদে যুগপ্রবর্তক বাবা গুরুবচন সিংহজীর স্মৃতিতে তাঁর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ত নিরঙ্কারী মিশনের সামাজিক শাখা সন্ত নিরঙ্কারী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত “মানব একতা দিবস” -এ সমগ্র ভারতবর্ষের ৯৯টি জোনের প্রায় সমস্ত শাখায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। যেখানে নিরঙ্কারী ভক্তগণ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। পিকনিক গার্ডেন স্থিত সন্ত নিরঙ্কারী সৎসঙ্গ ভবনে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ২৩৬ জন মহিলা সহ মোট ৬১০জন নিরঙ্কারী ভক্ত স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এদিন ভোর ৬টায় এ্যক্রোপলিস মল থেকে পিকনিক গার্ডেন স্থিত সন্ত নিরঙ্কারী সৎসঙ্গ ভবন পর্যন্ত ভক্তরা একটি বাইক র্যালিরও আয়োজন করেছিলেন। শিশু চিকিৎসক ডঃ এস.কে.চ্যাটার্জী এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন রক্তদান মহৎ দান। নিরঙ্কারী মিশনের ভক্তদের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদও জানান। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রীমতি লিপিকা মান্না সহ সন্ত শ্রী অর্জন সিং, ক্ষেত্রীয় সঞ্চালক শ্রী সুরেস কুমার আগরওয়াল ও অন্যান্য সমাজ সেবকরা। সমাজকল্যানমূলক কাজে মিশনের ভূমিকা নিয়ে লিপিকা মান্না বলেন এই সমাজসেবার কারণে অসহায় মানুষেরা অনেকাংশে উপকৃত হবেন। এবং তিনি নিজেও এই সমাজকল্যান মূলক কাজের সাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জোনাল ইনচার্জ মোহন প্রসাদ সাউ জানান বাবা গুরুবচন সিংজী, সত্যবোধ,নেশামুক্তি,সরল বিবাহের মত সমাজ সংশোধন মূলক কাজের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বর্তমান সদগুরু মাতা সুদীক্ষাজী মহারাজের নিদের্শে তাঁর অনুগামীরা নিরন্তর সেবার প্রচেষ্টা করছেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭৫১৯ টি শিবির করা হয়েছে। এবং ভক্তদের দ্বারা প্রায় ১৩, ৪০০০০ ইউনিট রক্ত প্রদান করা হয়েছে।