কৃষকদের জন্য সুখবর।
নিজস্ব প্রতিবেদক, মথুরাপুর : দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে কাজ শুরু করল সুন্দরিনী আ্যগ্রো প্রসেসিং ইউনিট এন্ড ট্রেনিং হাব। এই আ্যগ্রো প্রসেসিং ইউনিটের মাধ্যমে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাত করতে পারবেন। সুন্দরবন কো-অপারেটিভ মিল্ক অ্যান্ড লাইভস্টক প্রডিউসারস ইউনিয়ন লিমিটেড এর সভাপতিত্বে এবং সক্রিয় দিকনির্দেশনা ও সমর্থনে ১২ই এপ্রিল সুন্দরিনী প্রকল্পের উদ্বোধন হয়।
এদিন গ্রাম সচেতনতা শিবির, সুন্দরীর কৃষাণীদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান এবং সুন্দরিনী শস্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসক শ্রী সুমিত গুপ্ত।
উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাত করার আগে সেগুলিকে এখানে পক্রিয়াকরণ করা হবে। সেজন্য এই কেন্দ্রে উনন্নতমানের যন্ত্রপাতিও আনা হয়েছে।
উদ্বোধনে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামের তালিকা বেশ লম্বা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা সাশক। উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ড. অলোক জলদাতা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন বিষয়ক অধিদপ্তরের সিনিয়র উপসচিব শ্রীমতী মহুয়া দাস, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, মথুরাপুর ১নং ব্লক আধিকারিক তারাশঙ্কর প্রামাণিক, মথুরাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শকুন্তলা হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণার অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং এডিএম শ্রীমতী অদিতি চৌধুরী। এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রী নির্মল মজুমদার ও শ্রী মানবেন্দ্র হালদার।
মূলত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট এই সুন্দরিনী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ হল প্রান্তিক এলাকার কৃষকদের বিশেষ করে মহিলাদের উন্নয়ন ঘটানো। এই লক্ষেই মথুরাপুর কৃষক বাজারে এই ইউনিটটি খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০জন কৃষক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এখানে দুধেশ্বর সহ বেশ কিছু মুল্যবান ও সৌখিন চালের পক্রিয়াকরণ করে বাজারজাত করা হয়। এছাড়াও তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকমের ভোজ্য তেল। দুগ্ধজাত বিভিন্ন সামগ্রী। এর সঙ্গে কৃষকরা যাতে আরও বেশি করে ফসল উৎপাদন করতে পারে সেজন্য দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।
শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নয়, এখানে দুগ্ধজাত বিভিন্ন সামগ্রীর মান নির্ণয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। সেজন্য এখানে একটি ল্যাবরেটরিও খোলা হয়েছে। আগামীতে এখান থেকে সরাসরি মরসুমি বিভিন্ন সবজি পক্রিয়াকরণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে খবর।
সমস্ত প্রজেক্টটি দেখভাল করছেন সুন্দরিনী প্রকল্পের ম্যনেজিং ডাইরেক্টর ড: অম্বিকা প্রসাদ মিশ্রা। এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে মথুরাপুর ইউনিটের ইনচার্জ সীমা দাস জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে সুন্দরবনের ৭ টি ব্লকের প্রায় ৫০০০ হাজার মহিলা যুক্ত আছেন। তাদের যে উৎপাদিত দ্রব্য দুধ, ডিম, চাল, ডাল, মধু সহ একাধিক জিনিসপত্র সরাসরি এই সুন্দরিনী প্রকল্পের মাধ্যমে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন।