নৌকায় দুয়ারে সরকার শিবির।
নিজস্ব প্রতিনিধি, ডায়মন্ড হারবার: ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০ হাজারেরও বেশি আবেদনকারীকে পরিষেবা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত জেলায় মোট ২২৪৯টি শিবির হয়েছে। কদিনের মধ্যে প্রায় এক লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসেছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতে ১৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। অন্যান্য আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার পর সুবিধা প্রদান করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এবারের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা থাকায় প্রান্তিক মানুষেরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ডায়মন্ড হারবার- ২ ব্লকের পান্না কেসি হাইস্কুলের দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শন করেন। পরে ডায়মন্ড হারবারের সার্কিড হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলা শাসক। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক শঙ্খ সাঁতরা, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।
জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘এবারের শিবিরে দ্বিগুন সরকারিকর্মী কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়া কন্যাশ্রীর পড়ুয়া, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য পাচ্ছি। আবেদনের ভিত্তিতে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১লা এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন জানানোর জন্য শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হবে।পরিষেবা প্রদানের শিবির থাকছে ১১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। প্রশাসনের ১৬টি দপ্তরের উদ্যোগে ৩৩টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে শিবিরে। এবারের মূখ্য আকর্ষণ মেধাশ্রী, বাংলা কৃষি সেচ যোজনা ও ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাতের মুঠোয় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে, এই প্রথম মোবাইল শিবিরের আয়োজনও করা হয়েছে। শিবিরে রয়েছে কমপ্লেন ও সাজেশন বক্স। সেই বাক্সে সাধারণ মানুষ তদের অভিযোগ যেমন জমা করছেন, তেমনি তাঁদের মন্তব্য লিখেও জমা দিতে পারবেন। এই জেলার সুন্দরবনের জন্য ২৬৫টি নৌকায় শিবির হবে। বাসন্তী, কুলতলি, গোসাবা ও পাথরপ্রতিমার মত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলির শিবিরেও যাবেন জেলাশাসক।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত প্রতিটি জায়গায় নিয়ম মেনে ক্যাম্প করা হচ্ছে। বহু মানুষই ভিড় জমাচ্ছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক আবেদনকারীকেই পরিষেবা দেওয়া সম্বব হয়েছে।