গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু কে ঘিরে চাঞ্চল্য কুলতলীতে।
বাবলু হাসান, কুলতলি : কুলতলীর জালাবেড়িয়া ২ নম্বর অঞ্চলের পূর্ব জামতলা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে গৃহ বধূর ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল ছড়ায়। জানাগেছে, স্বামী অরূপ মন্ডল প্রচন্ড হারে মারধর করে স্ত্রী তপতীকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে এই খবর গৃহবধুর বাপের বাড়িতে দেয়। মেয়ের মরণ খবর শুনে পিতা-মাতা এবং আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব সবাই আসে। সাথে সাথে খবর যায় কুলতলী থানায়। কুলতলী থানার পুলিশ পূর্ব জামতলা থেকে ওই মহিলার নিথর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় জয়নগর কুলতলী গ্রামীন হাসপাতালে। ডাক্তারবাবু মৃত ঘোষণা করায় দেহটি কুলতলী থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়। পরে দেহ টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় কুলতলি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গৃহবধূর বাপের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি তাদের মেয়েকে পিটিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানায় তারা।
জানা গেছে, জয়নগর ২ ব্লকের বেলে দুর্গানগর অঞ্চলের শাপলার বাসিন্দার মদন সরদারের ছোট মেয়ে তপতী সরদার এবং কুলতলির জালাবেড়িয়া ২ অঞ্চলের পশ্চিম জামতলার বাসিন্দা নবকুমারের পুত্র অরূপ মণ্ডল এর সাথে প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করে। তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান আছে। সন্তান হওয়ার পরেও অরূপ অপর একটি মেয়েকে নিয়ে কোলকাতায় থাকে, অরূপ পেশায় গাড়ি চালক। কুলতলীতে থাকা প্রথম স্ত্রী কে ঠিক মত ভরণ পোষণ দিত না বলে জানাজায়। আর এরই কারণে ধীরে ধীরে অশান্তি বেড়েই চলেছে। আর ঐদিন অশান্তির জেরেই প্রাণ গেল তপতির। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলতলী থানার পুলিশ।