নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকালে নামখানার শিবরামপুর এলাকায় বছর ছয়েকের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত অশেষ হাজরা (৪২)কে বুধবার বিকালে কুড়ি বছরের সাজা সহ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করল কাকদ্বীপের পকসো ১ নং কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক শ্রীমতি সর্বানী মল্লিক চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকালে এই মামলায় প্রথমে অশেষ হাজরাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এদিন বিকালে সাজা ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকালে নামখানার শিবরামপুর এলাকায় বছর ছয়েকের এক কিশোরী মাঠে খেলা করছিল। সেই সময় তাকে প্রলোভন দিয়ে ডাকে স্থানীয় বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশী অশেষ হাজরা। তারপর তাকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে যৌন নির্যাতন করে। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শেষে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে সে। এরপর কিশোরী বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজনেরা জানতে পেরে রাতে নামখানা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সাকিব শাহাব। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) ধারা ও ৬ পকসো আইনে মামলা রুজু করে ১০ তারিখ শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ওই মাসের ৩১ তারিখ শুক্রবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পর কাকদ্বীপের পকসো ১ নং কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক শ্রীমতি সর্বানী মল্লিক চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রেখে এই মামলার বিচারপর্ব চলে। এই মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষী গ্রহণ করার পর মঙ্গলবার বিকালে অশেষকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
মুখ্য সরকারি আইনজীবী অমিতাভ রায় জানান, ২০১৮ সালে নামখানা এলাকার বছর ছয়েকের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত অশেষ হাজরাকে বুধবার বিকালে কুড়ি বছরের সাজা সহ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে কাকদ্বীপের পকসো ১ নং কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক শ্রীমতি সর্বানী মল্লিক চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালে কাকদ্বীপ আদালতে প্রথম পকসো কোর্ট চালু হয়। এর আগে পকসো মামলায় কোনো সাজা ঘোষণা হয় নি। এই প্রথম পকসো মামলায় একজনকে সাজা ঘোষণা করল আদালত।