৭৫তম বর্ষ পূর্তি কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল।
নিজস্ব প্রতিনিধি, মথুরাপুর : গত ২২শে জানুয়ারি থেকে ২৬শে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মথুরাপুর ব্লকের অন্তর্গত কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্লাটিনাম জুবিলী অনুষ্ঠিত হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ মন্ডল, রাষ্ট্রমন্ত্রী পরিবহন দপ্তর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড: সিদ্ধার্থ মজুমদার চেয়ারম্যান সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব অধ্যাপক সুব্রত ঘোষ, স্থানীয় বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা সহ বিশিষ্টজনেরা।
সভায় পৌরহিত্য করেন বাপি হালদার, সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালক সমিতি। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রায় এক বছর ধরে আন্তঃ বিদ্যালয় ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, সাঁতার, অংকন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী, নাটক, মূকাভিনয়, ম্যাজিক শো, পুতুল নাচ, ছৌ নাচ, নৃত্য নাট্য, বইমেলা, কৃষি মেলা, রক্তদান শিবির। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক – শিক্ষিকা- শিক্ষাকর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলন, রোড রেস, বাইসাইকেল রালী, প্রভাত ফেরী, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষামূলক সেমিনার, কেরিয়ার কাউন্সেলিং, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, গুণীজন সংবর্ধনা। বর্তমান এবং প্রাক্তন কৃতী ছাত্র-ছাত্রী সম্বর্ধনা, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, পরিবেশ সচেতনতা শিবির, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা প্রশিক্ষণ, রোটারি ক্লাব পরিচালিত লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট আবাসিক প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, বিচিত্রানুষ্ঠান, ইত্যাদি সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আতসবাজি দিয়ে শেষ হয় প্লাটিনাম জুবিলী বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এলাকার মানুষদের মধ্যে উৎসাহ – উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানের প্রতিদিন সকলের জন্য প্রীতি ভোজের ব্যবস্থা ছিল। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দেখার মত ছিল। বিদ্যালয় পরিবেশ নানান মনীষীদের বাণী, ছবি, রাজা রামমোহন রায়ের দিসার্ধশততম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর মর্মর মূর্তির উন্মোচন, সুইমিং পুলের উদ্বোধন, মিনি ইনডোর গেমস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন এবং প্লাটিনাম জুবিলী স্মারক তোরণের উদ্বোধন হলো। বিদ্যালয়ের ৫ হাজারেরও বেশি ছাত্র ছাত্রীদের এবং পাঁচটি ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের এক হাজারেরও বেশি আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এগিয়ে যাবার শপথ নেওয়া হল আরো এক ইতিহাস তৈরির পথে।” তিনি ধন্যবাদ জানান স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন, পঞ্চায়েত, মুক্তি সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অভিভাবক – অভিভাবিকাগণ, ব্যবসায়ী এবং গ্রামবাসীবৃন্দকে তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।