রইস সাহেবের জানাজায় উপস্থিত ফুরফুরা শরীফের একাধিক পীরযাদা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও ফুরফুরা শরীফের মেজলা হুজুর রহ: এর খলিফা হজরত মাওলানা সাহাসুফি মও: রইস উদ্দিন আহমদ হুজুর শুক্রবার বিকেলে ইহলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন। আজ শনিবার ২:৩০ মিনিটে হটুগঞ্জ এ নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ও মিশন মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও জেলার বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ইহলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করায় শোকের ছায়া নেমে পড়ে। জানা গেছে, তিনি ফুরফুরা শরীফের মেজো হুজুর পীর কেবলা (রহ:) এর ইজাজাত প্রাপ্ত নবম খলিফা ছিলেন। হটুগঞ্জ আল আমিন মিল্লি মিশনের পাশে মেজ হুজুর পীর কেবলার নামে দারুন নাজাত আবু জাফরিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সেই সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের জন্য মাওলানা রইসউদ্দিন একাডেমী নামে একটি কেজি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও আল আমিন মিল্লি মিশনকে বহু জায়গা দান করেন এবং ফুরফুরা শরীফের তরিকা মোতাবেক উক্ত মাদ্রাসায় একটি খানকা শরীফ স্থাপন করেন তিনি। যেখানে প্রতি মাসের শেষে বহু ভক্ত বৃন্দকে নিয়ে জেকেরের মজলিস করতেন তিনি। এবং তিনি শিরাকোল হাইস্কুলে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর সমাজ মূলক কাজে ধ্যান দেন, জীবনে বহু জলসা মাহফিল ও ধর্মসভাকরেছেন।তাঁর জানাজার নামাজে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজার হাজার মানুষ। তার মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফুরফুরা শরীফ থেকে আগত আওলাদে মোজাদ্দেজামান আল্লামা পীর ইসমাইল সিদ্দিকী, পীরজাদা মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকী, পীরজাদা মেহরাব সিদ্দিকী সহ অন্যান্য পীরযাদারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, এলাকার বিশিষ্টজনরা, ধর্ম প্রাণ মুসলিম জনগন। তিনি জীবিত অবস্থায় চারটি উপযুক্ত ছেলে আ: গফফার, মও: আ: কাদের, আ: মালেক ও আ: মতিন কাজী কে রেখে ইহলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন। উপস্থিত আওলাদে মোজাদ্দেদেজামান ফুরফুরা শরীফের পীরসাহেব, মরহুম মাও: রইস উদ্দিন আহমদ এর জানাযার শেষে ওনার রূহে মাগফিরাত শান্তির কামনা করে দোয়ার মধ্যে দিয়ে চোখের জলে শেষ হয়।