২৮ দিনের মাথায় খুনের কিনারা পুলিশের।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: হুগলীর রিষড়ায় ছাত্র খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে অভিযুক্ত। রেশন দোকানে কাজ করা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। খুনের ২৮ দিনের মাথায় খুনের কিনারা করলো রিষড়া থানার পুলিশ। রেশন দোকানের কাজ নিয়েই দুজনের মধ্যে মতবিরোধ। আর তার জেরেই নৃশংস ভাবে বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল তরতাজা যুবকের। প্রশঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪ ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় রিষড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বি এল মুখার্জী রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় বিধান কলেজের ছাত্র ২২ বছরের অভিষেক পাশোয়ানকে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তরিঘরি তাকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সেদিন রাতেই অভিষেকের পরিবার রিষড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ খুনের মামলা ঋজু করে। থানার আধিকারিক সঞ্জয় সরকারের নেতৃত্বে শুরু হয় এই মামলার তদন্ত। সঠিক তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বি এল মুখার্জী রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে মৃত অভিষেক পাশোয়ানের প্রতিবেশী সুজল সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সুজলকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে।এই প্রশঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন,ঘটনার দিন থেকেই সুজলের গতিবিধি বেশ সন্দেহজনক ছিল। অনেকের সাথে সুজলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পরে। এরপরই পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সুজল জানিয়েছে, রেশন দোকানের কাজ নিয়েই দুজনের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়। অভিষেক বিধান কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি একটি রেশন দোকানে কাজ করত। সেই সুবাদে রেশন কার্ড তৈরি এবং সংশোধনের কাজও করত সে। এর জন্য কিছু উপরি আয় হত তার। পরীক্ষার জন্য অভিষেক ছুটি নেয়। পরিবর্তে কয়েকদিনের কাজের জন্য প্রতিবেশী সুজলকে কাজ দেয় সে। পরীক্ষা শেষে অভিষেক সুজলকে সরিয়ে কাজে ফেরে। এটাই মেনে নিতে পারেনি সুজল। অভিষেকের উপরে তৈরী হয় ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই কাজ থেকে ফেরার পথে অভিষেককে পিছন থেকে ছুরির আঘাতে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়ে যায়। সিসি টিভি ফুটেজ এবং মোবাইল লোকেশান দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। যদিও সুজলের মা জানিয়েছে তার ছেলে লেখা পড়ায় খুব ভালো, পুলিশ তার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।