নিজস্ব প্রতিবেদক, সুন্দরবন: পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন রাজ্যের দুই জেলা জুড়ে বিস্তৃত, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই অঞ্চল প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী আর অভিযানের জন্য বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত। ভ্রমণের আগে কিছু বিশেষ জায়গা সম্পর্কে জানা থাকলে সফর আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে। হরিখালি সুন্দরবনের উত্তর ২৪ পরগনা অংশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট। ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভেতর দিয়ে সরু খাঁড়ি বয়ে গেছে, যেখানে নৌকাভ্রমণ এক ভিন্ন রোমাঞ্চ এনে দেয়। এই এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ প্রায়ই চোখে পড়ে, পাশাপাশি বড় দলে চিত্রা হরিণও দেখা যায়। শীতকালে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে এসে বসবাস করে। কালিতলা বসিরহাট রেঞ্জের একটি অনন্য স্পট, যেখানে লোকালয় আর সুন্দরবনের জঙ্গল পাশাপাশি অবস্থান করছে। একদিকে মানুষের বসতি, অন্যদিকে অরণ্যের ঘন সবুজ – এই বৈপরীত্য ভ্রমণকারীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
স্থানীয়দের নদী ও জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল জীবনযাত্রা এখানে চোখে পড়ে। ফলে কালিতলা সুন্দরবনের উত্তর ২৪ পরগনা অংশের একটি বিশেষ চিহ্ন হয়ে উঠেছে। সাজনেখালি ওয়াচ টাওয়ার সুন্দরবনের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা। এখানে রয়েছে জাদুঘর, কুমির প্রজনন কেন্দ্র। কাছেই সুধন্যখালি ওয়াচ টাওয়ার, যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ ও নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায়। সুন্দরবনের একটি জনপ্রিয় স্পট হল দোবাকি। এর প্রধান আকর্ষণ হলো বিখ্যাত ক্যানোপি ওয়াক, প্রায় ২০ ফুট উঁচু লোহার নেটের রাস্তা, যেখান থেকে পুরো জঙ্গলকে উপর থেকে দেখা যায়। বাঘ, হরিণ, বুনো শূকর ও নানা প্রজাতির পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য এটি আদর্শ জায়গা। ফলে দোবাকি সুন্দরবন ভ্রমণের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা এনে দেয়।