সুন্দরবনের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম গুলিতে বাঘের আতঙ্ক অব্যাহত।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কুলতলি: সুন্দরবনে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম মৈপিঠ কোস্টাল থানার শ্রীকান্ত পল্লী এলাকায় আবারো বাঘের পায়ের ছাপ ও বাঘ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত মৈপিঠ কোস্টাল থানার শ্রীকান্তপল্লী এলাকার মানুষজন। গতকাল স্থানীয় বাসিন্দাররা কিশোরী মোহনপুর সামন্ত বাজার ও শ্রীকান্ত পল্লী ড্রেনের মুখ সংলগ্ন মাকড়ী নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরতে যাবার পথে তারা নদী বাঁধের পাশ থেকে বাঘ একটি মৃত ষাঁড়ের দেহ টানতে টানতে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যেতে দেখে। স্থানীয়দের মুখে এমনই খবর চাউর হতে এলাকায় মানুষজন জড়ো হতে থাকে। সোমবার সকালে খবর পৌঁছায় মৈপিঠ কোস্টাল থানায়, খবর জায় স্থানীয় নলগোঁড়া বিট অফিসে। খবর পৌঁছানোর সাথে সাথে বনদপ্তরে একাধিক কর্মীরা এসে এলাকায় ফেনসিং নেট দিয়ে এলাকা ঘেরার ব্যবস্থা করেন। জঙ্গলের মধ্যে সার্চিং করার সময় বনকর্মীদের কানে আসে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হুংকার। মৈপিঠ কোস্টাল থানার ওসি শান্তনু বিশ্বাসের নেতৃত্বে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এলাকায় মানুষজন যাতে অযথা ভীত সন্ত্রস্ত্র না হয় তারও ব্যবস্থা করেন পুলিশ কর্মীরা। বনদপ্তর এর কর্মীরা জঙ্গলের মধ্যে সার্চিং অপারেশন করার মুহূর্তে বাঘের গর্জন ও হুংকারে নির্বাক হয়ে পড়ে বন কর্মীরা।
এলাকায় ফেন্সিং নেট দিয়ে ঘিরে রাখলেও আতঙ্ক কিন্তু কাটছে না। সময় যত গড়াচ্ছে এলাকায় মানুষের ভয় ভীতি ততই বাড়ছে। কারণ সন্ধ্যা নামলেই জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলি ঘন অন্ধকার নেমে আসে, বাঘালয়ে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যেভাবে কুলতলির একাধিক এলাকায় দিনের পর দিন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় এই বাঘের ও তার পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া। এবং গৃহস্থের কোন রূপ গবাদি পশু এবং তারা নিজেরা ক্ষতি গ্রস্ত হবে কিনা তাতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। এ বিষয় স্থানীয়রা জানান, এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুক বনদপ্তর। আর এখানে স্থায়ীভাবে ফেন্সিং নেট দিয়ে এলাকা ঘিরে রাখুক। যাতে তারা নিশ্চিন্তে দিন যাপন করতে পারে নির্দ্বিধায়। ঘটনার পর মৈপিঠ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। অযথা গুজব না ছড়ানোর জন্য এবং ভয় না পাওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে।