Wednesday, June 18, 2025
Ad

ফের বাঘের আক্রমণ সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের ওপর।

Must read

সুন্দরবনে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত।

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলতলী: ফের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু কুলতলির কাঁটামারির আদিবাসী মৎসজিবি অজয় সরদার (৫১)। জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্যে সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মারা গেলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই জানুয়ারি শুক্রবার বনদপ্তরের BLC এবং পাস নিয়ে দুইজন সঙ্গী কার্তিক সরদার ও কালাচাঁদ সরদার (মাঝি) মাছ কাঁকড়া ধরতে রওনা দেয়। তারা ফেরার পথে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় অজয়ের। বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবনের পীরখালি ধুপনি খাড়ি দিয়ে ফেরার পথে নৌকায় মথায় পিছন করে বসে ছিল অজয় সরদার। হঠাৎ তার উপর জঙ্গল থেকে বাঘ এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকা দুই সঙ্গী চিৎকার চেঁচামেচি এবং বৈঠা নিয়ে তাড়া করলে বাঘ জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। তড়িঘড়ি সঙ্গীরা রক্তাক্ত অজয় সরদার কে নিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। পথে মারা যায়, শুক্রবার ভোর ৪টা নাগাদ কাঁটামারির ঘাটে এসে পৌছায়।

কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার।

পরবর্তী কালে জয়নগর কুলতলির জামতলা রুরাল হাসপাতালে এবং পরে থানা হয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৎস্যজীবী কালাচাঁদ সরদার বলেন, আমরা তিনজন কাকড়া মাছ ধরে পীরখালির জঙ্গল থেকে ফেরার সময় অজয়য়ের উপর আক্রমণ করে বাঘ। আমরা দুজন কোনরকম বাঘের মুখ থেকে আমাদের সঙ্গী অজয়কে ছাড়াতে পারলেও বাঁচাতে পারলাম না।উল্লেখ্য, সুন্দরবনে গত বছর ১৯ জনের মতোন মৎস্যজীবী বাঘে ও কুমিরের আক্রমণে আক্রান্ত হয়। ১৯ জনের মধ্যে প্রায় ১২ জনের উপর মৃত এবং ২০২৫ এর আজ নিয়ে ১৬ দিনের মধ্যে দুই জন মৃত একজন আহত।গতকাল গোসাবার ছোট মোল্লাখালীর ঝন্টু মন্ডল (৪৫) বাঘের আক্রমণে আহত হলেন। এবং একই দিনে অজয় সরদার নিহত হলেন। এবং কুলতলির মৈপিঠ কোস্টালে নগেনাবাদে গ্রামে দুটি বাঘের আগমন ও পেটকুলচাঁদ হালদার ঘেরির গ্রামে বাঘ চলে আসে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই নিয়ে শুধু মৈপিঠে এই শীতের মরশুমে ১০ বারের বেশি বাঘ চলে এলো। এবং দেবিপুর গ্রামে ঘোসের চকে স্কুল পড়ুয়া রাহুল হালদারের বাড়ির সমনের রাস্তায় আক্রান্ত হয়ে অল্পের জন্য প্রান রক্ষা পেল। গত বুধবার কুলতলির কৈখালির হাজীর হাটের হরিপদ দাস ছয় মাস পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা থাকার পর বাড়ি ফিরলেন। মৈপিঠের নগেনাবাদের বাসিন্দা শুকদেব সাঁপুই বর্তমানে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সারা সুন্দরবনে বাঘ, মৃত্যু, মৃত্যু আতঙ্ক বিভীষিকাময় পরিবেশ চলছে।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া।মৃত অজয়ের স্ত্রী সরস্বতী সরদার বলেন, ‘কাঁকড়া ধরতে নৌকা নিয়ে গিয়েছিল, সন্তানদের নিয়ে সাবধানে থাকার জন্য বলে গিয়েছিল। মেয়ের বাড়িতে গিয়ে শুনি ওঁর শরীর খুব খারাপ, হাসপাতালে ভর্তি। ঘরে এসে দেখলাম সব শেষ।‘

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article