শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্তে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢোলাহাট: যৌতুক না পেয়ে ফারজিনা খাতুন (১৯+) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ঢোলাহাট থানা এলাকায়।ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার বেলুনি গ্রামের। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর পিতা ফরমান নাইয়া বাদী হয়ে তাঁর স্বামীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে স্বামীসহ পরিবারের সবাই বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, মাস তিনেক আগে শংকরপুর অঞ্চলের পাঁচানি গ্রামের ফারজিনার সহিত বেলুনির মারুফ হোসেন গাজী (২৬) র বিয়ে হয়। বছর ঘোরার আগেই সমাপ্তি ঘটলো দাম্পত্যের।নিহতের বাবা বলেন, গত প্রায় তিন মাস আগে দেখাশোনার মাধ্যমে মেয়েকে বিয়ে দি। বিবাহের সময় ছেলে পক্ষের দাবি মত আমরা গহনা ও আসবাবপত্র সহ অন্যান্য দান সামগ্রী যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর সব ঠিক চলছিল। হঠাৎ ছেলের তরফে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। দুদিন আগে মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন টাকার জন্য আমার কাছে পাঠায়। আমার পক্ষে তার দাবি পূরণ করা সম্ভব না হলে পর দিন মেয়ে তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায়। শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে জানায় এক লক্ষ টাকা না নিয়ে আসার জন্য তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর ও অত্যাচার করছে। মেয়ের কথা শুনে বেলা ১১ টা নাগাদ মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা আমার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে বিছানায়। মৃত গৃহবধূর দাদা সহ পরিবারের দাবি, গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। দেহটিকে উদ্ধার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত মারুফ হোসেন গাজীর এক আত্মীয় মমতাজ বিবি জানান, হঠাৎ মারুফের মা ছুটে এসে আমাদেরকে ডাকে যে বৌমা কথা বলছে না। আমরা গিয়ে মাথায় পানি দিই। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল, তার উপরে খাওয়া-দাওয়া না করায় দুর্বলতার কারণে স্ট্রোক হয়েছে বলে অনুমান। তবে ওদের পারিবারিক কোনো ঝামেলা ছিল কিনা তা বলতে পারবোনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। তবে, সরকারি নিয়ম অনুসারে বিয়ের সাত বছরের মধ্যে এরকম ঘটনা, সে কারণে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবার পরই ময়নাতদন্ত হবে।