বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: এক দম্পতিকে গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রাণ নাশের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর পান্ডুয়ায়। অগ্নীদগ্ধ দম্পতি গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আহত দম্পতির নাম অলোক হাজরা ও মৌসুমী হাজরা। ধৃত যুবকের নাম আসিফ হোসেন মোল্লা। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পান্ডুয়ার খিরকুন্ডির বাসিন্দা অলোকের সাথে পান্ডুয়ার কলিশন্ডার বাসিন্দা অসিফের দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিলো। বেশ কিছুদিন হল সেই সম্পর্কে ভাটা পরে। ব্যবসার কারণে আসিফের কাছে অলোকের কিছু টাকা বকেয়া হয়ে যায়। সেই টাকা না পেয়ে আসিফ হোসেন সমাজ মাধ্যমে অলোকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অসম্মাজনক পোষ্ট করতে থাকে। এর ফলে সমাজে অলোকের সম্মানহানি হয়। বুধবার রাতে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অলোক হাজরা ও তার স্ত্রী মৌসুমী হাজরা সহ বেশ কয়েকজন কলিশন্ডায় আসিফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে যায়। আসিফের একটি মোবাইলের দোকান আছে। সেই সময় আসিফ দোকানে ছিল। দোকান থেকে আসার পর অলোক স্যোশাল মিডিয়ার পোষ্টগুলো ডিলিট করতে বলে। কিন্তু আসিফ রাজি না হওয়ায় দুই জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই সময় অলোক নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয়। এরপরেই হঠাৎ অলোকের গায়ে দপ করে আগুন লেগে যায়। মৌসুমী পাশেই দাঁড়িয়েছিল। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মৌসুমীও অগ্নিদগ্ধ হয়। গুরুতর আহত দুই জনকে স্থানীয়রাই পান্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে দুজনকেই কোলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনার পর আসিফ পালিয়ে যায়। বুধবার রাতেই অলোকের পরিবার আসিফের বিরুদ্ধে পান্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সারদাপল্লী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার আসিফকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে পুলিশ। দম্পতির সাথে আসা পাপিয়া নন্দী নামে এক মহিলা বলেন, আসিফ দীর্ঘ দিন ধরে নানা ভাবে অলোককে মানসিক নির্যাতন করছিল। অলোক অত্যন্ত সজ্জন। আসিফ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে অলোক আর মৌসুমী তার বাড়িতে এসে আসিফের বৃদ্ধ মা বাবাকে হুমকি দেয়,নিগ্রহ করে। ঘটনার সত্যতা জানতে পান্ডুয়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।